মাদক সেবন, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ইউপি সদস্যদের অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ হারালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা (উত্তর) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা এম আসলাম মৃধা। কাইতলা (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে আসলাম মৃধাকে বহিষ্কার করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকারের উপসচিব আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত ৪৬.০০.১২০০.০১৭.২৭.০০১.১৬.৫৭৮.স্মারকের এক অফিস আদেশে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের আদেশ গতকাল সোমবার (১৬ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বরাবর পৌঁছলে তিনি পদটি শূন্য ঘোষণা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন৷ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসলাম মৃধার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লিপি আক্তারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও জুতাপেটা করা, সরকারি ভাতাভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়, সরকারি ভিজিডির টাকা নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ এনে ১২ জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনাস্থা দেন৷

এই অনাস্থা জ্ঞাপনপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দাখিল করলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ আইন ৩৯(১৩) ধারা মোতাবেক অনুমোদন হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিককে অফিস আদেশ দেন।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো। আমার মনোনীত উপজেলা সমবায় অফিসারের করা তদন্ত প্রতিবেদন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম।

সেই অনুযায়ী এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার পদটি শূন্য ঘোষণা করে ২-৩ দিনের মধ্যে গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।